কথিত অসাম্প্রদায়িক চেতনা মুসলিম হেনস্থার হাতিয়ার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে আযান দেওয়া এবং সেখানে ইসলাম প্রচারের কামনাপূর্বক পোস্ট দেওয়ায় চলতি মাসের 1 তারিখে মোহাম্মদ সাব্বির ও মোঃ রিফাত নামে দুই তালিবুল ইলমকে গ্রেফতার করেছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন মোহাম্মদ সাব্বির নামক তালিবুল ইলম ভাইয়ের স্ট্যাটাসের ভাষা ছিল "চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় ওঠা আমান দিলাম
আলহামদুলিল্লাহ
নশাআল্লাহ অতি শিগগিরই সেখানে ইসলামের পতাকা উড়বে"
এটা নাকি ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্য জারজের ধরে মঙ্গলবার সীতাকুণ্ড মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করে মালাউন বাসুতিপ্রায় চন্দন নামের এক হিন্দু নেতা, এই মালাউন বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি
প্রিয় ভিউয়ার্স !
সাম্প্রদায়িক আদর্শগুলো যে ইসলামের নিদর্শন অমুসলিমদেরকে ধ্বংস করার জন্য একটি হাতিয়ার তা আমাদের সামনে স্পষ্ট
প্রিয়া সাহার যখন আমেরিকার প্রভুদের কাছে গিয়ে মুসলিমদের নামে মিথ্যা অভিযোগ ছড়াই তখন সেটা সাম্প্রদায়িক উস্কানী হয় না , হিন্দুরা যখন বায়তুল মোকাররম উড়িয়ে দেয়ার ঘোষণা দেয় তখন হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনের অসাম্প্রদায়িক চেতনা জেগে ওঠে না , দেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পাশ দিয়ে যখন গান-বাদ্যের শিরকি আওয়াজ সহ রথযাত্রা যায় তখন অসাম্প্রদায়িক আদর্শের কোন ক্ষতি হয়না, উচ্চস্বরে বাদ্যযন্ত্র বাজাতে নিষেধ করায় যখন সম্মানিত ইমাম সাহেবকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় তখন সেটা সাম্প্রদায়িক হামলা হয়না , সন্ত্রাসী সংগঠন "ইস্ক্যান" যখন স্কুলের কোমলমতি মুসলিম বাচ্চাদেরকে হরেকৃষ্ণ হরেরাম পাঠ করিয়ে শিরকী খাবার প্রসাদ খাওয়ায় তখন সেটা ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে না কিন্তু মুসলিমদের আল্লাহ প্রদত্ত দায়িত্ব তথা দ্বীন প্রতিষ্ঠার কামনা প্রকাশ হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনের কাছে ধর্মীয় উস্কানি হয়ে যায় , জনগণের জায়গায় মন্দির থেকে দূরবর্তী স্থানে খালি কন্ঠে আজান দিলে নাকি হিন্দুত্ববাদী সত্যি সাম্প্রদায়িক উস্কানী পায় , মূলত অসাম্প্রদায়িক আর নিরপেক্ষ বলতে কিছু নেই কিন্তু অসাম্প্রদায়িকতার ধোঁয়াশা ছড়িয়ে হিন্দুত্ববাদী শক্তি এবং নিরপেক্ষতার বুলি আউড়িয়ে সেকুলার শক্তি মুসলিমদের উপর চালিয়ে যাচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার ভয়াবহ শোষণ,
প্রিয় উম্মাহ!
বিগত কয়েক বছর যাবত আমরা মুসলিমদের উপর হিন্দুত্ববাদী শক্তির নানা ধরনের উগ্রতা আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেতে দেখছি , গেরুয়া সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য আজ বাংলার প্রতিটি সেক্টরে প্রতিষ্ঠিত, বাংলার মুসলিমরা চাক কিংবা নাচাক হিন্দুত্ববাদী এই শক্তির সাথে তাদের অনাগত সংঘাত অনিবার্য,
তাই আসুন আমরা মুসলিম সমাজকে হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সচেতন করে তুলি অনাগত ভবিষ্যতের জন্য তাদেরকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে প্রস্তুত করে তোলি, সর্বোপরি আল্লাহর যমিনে আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য দাওয়াত ও জিহাদ বাস্তবায়ন করি
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন
Thanks everyday