বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে
একবার এক ছেলে তার বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে খেতে গেল।
বয়সের ভারে বৃদ্ধ বাবা নজ্ব হয়ে আছেন। বৃদ্ধের শরীরে একধরনের কাঁপুনি ছিল।
ছেলেটি তার বাবাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টের একটা টেবিলে গিয়ে বসল। বাবার প্রিয় খাবারগুলো অর্ডার করে বাবার হাত ধরে সে কথাবার্তা বলছিল।
যখন খাবার চলে এলো, তখন বৃদ্ধ তার কাঁপা, কাঁপা হাতে মুখে খাবার তুলে নিচ্ছেন।
মুখে দেওয়ার সময় খাবারের বেশিরভাগ অংশই তার শরীরে পড়ছিল এবং তাতে কাপড় নষ্ট হচ্ছিল।
এরকম দামী রেস্টুরেন্টে এই দৃশ্য দেখে আশপাশের অন্যান্য লোকেরা নাক সিটকানো শুরু করল; কিন্তু বৃদ্ধ পিতার প্রতি ছেলের কোনো অভিযোগ, অনুযোগ বা আপত্তি নেই
খাওয়া শেষ হলে ছেলেটা খুব যত্নের সাথে তার বাবার শার্ট ও দাঁড়িতে লেগে থাকা খাবারের অংশ পরিষ্কার করে দিল। নিজ হাতে বাবাকে পানি পান করালো।
আশপাশের মানুষগুলো তখনো তার দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল; কিন্তু ছেলেটির সেদিকে কোনো খেয়াল নেই ।
সে যখন বিল পরিশোধ করে বেরোতে যাবে, তখন রেস্টুরেন্টে উপস্থিত লোকদের মধ্য থেকে একজন দাঁড়িয়ে তাকে বলল,
‘মাফ করবেন! আপনি কি কিছু রেখে যাচ্ছেন এখানে?
ছেলেটি লোকটার দিকে তাকিয়ে বলল,
না তো, কিছু রেখে যাচ্ছি বলে মনে পড়ছে না আমার।
লোকটি বলল, আপনি অবশ্যই কিছু রেখে যাচ্ছেন। আপনি আজ এই রেস্টুরেন্টে প্রতিটি সন্তানের জন্য এই শিক্ষা রেখে যাচ্ছেন যে, কিভাবে পিতা-মাতার খেদমত-সেবা যত্ন করতে হবে!
কিভাবে তাদের শখ আহ্লাদকে প্রাধান্য দিতে হবে!
সাথে, সাথে আপনি সব পিতা-মাতার জন্য একটা আশা জাগিয়ে যাচ্ছেন যে,
আপনার মতো সন্তান হলে পৃথিবীর কোনো বাবা-মা'ই অসুখী হবে না।
আমরা অনেকেই আমাদের বাবা-মা'কে নিয়ে ভালো জায়গায় ঘুরতে, ভালো রেস্টুরেন্টে খেতে অনীহা দেখাই ,
আমরা ভাবি, বয়সের ভারে নুয়ে পড়া আমাদের
বাবা-মায়েদের সেখানে নিলে আমাদের ব্যক্তিত্ব সংকটে পড়বে।
অথচ আমরা যখন খুব ছোট ছিলাম, কারণে-অকারণে যেখানে-সেখানে কান্না শুরু করে দিতাম তখন আমাদের বাবা-মা আমাদের নিয়ে কোথাও যেতে, কোথাও খেতে অনীহা দেখাননি ।
তাঁরা একটিবারের জন্যও ভাবেননি যে, আমাদের জন্য তারা ব্যক্তিত্ব সংকটে পড়ে যাবে, অথচ কি অদ্ভুত আচরণটাই না পান তাঁরা আমাদের থেকে!
Team of "ofde Islam"
Nice
ReplyDeleteValo
ReplyDeleteVery nice 🙂
ReplyDelete