উসমান বিন এরতুগরুলের বিদায়ী কথা , ওসমানী খেলাফতের স্বর্ণ কণিকা । Ofde islam

0
উসমান বিন এরতুগরুলের বিদায়ী কথা


উসমান বিন এরতুগরুলের পুরো জীবন ছিল একটি সংগ্রামী জীবন।
 ‘জিহাদ ফিসাবিলিল্লাহ” আর ‘দাওয়াহ ইলাল্লাহ'র জীবন।
 জীবনের অন্তিম মুহূর্তে এসে মৃত্যুশয্যায় তিনি আপন সন্তান উরখানকে কিছু অসিয়ত করে দুনিয়া থেকে বিদায় নেন, 
যে অসিয়ত আজও ইতিহাসের প্রস্তরপাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। 
এই অসিয়ত উসমান বিন এরতুগরুলের সংগ্রামী জীবনের ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলে। 
সাম্রাজ্য পরিচালনায় তাঁর নীতি কী ছিল, তা বুঝিয়ে দেয়।
 'এই অসিয়তই পরবর্তী সময়ে উসমানি খিলাফতের মৌলিক সংবিধান বলে বিবেচিত হয়'। 
এটাকেই উসমানি সুলতান আর খলিফাগণ তাঁদের জীবন চলার পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করেন।
উসমান তাঁর ছেলে উরখানকে বলেন,
হে আমার ছেলে!
এমন কোনো বিষয়ে নিজেকে ব্যস্ত করা থেকে বিরত রাখবে, আল্লাহ যার আদেশ করেননি। 
আর যখনই তোমার সামনে কোনো সমস্যা দেখা দেবে, তখন আলিমদের সঙ্গে পরামর্শ করবে।
ছেলে আমার! 
তুমি ভালো করেই জানো আমাদের আসল উদ্দেশ্য কিন্তু আল্লাহর সন্তুষ্টি। 
জেনে রেখো, জিহাদের মাধ্যমেই দ্বীনের আলো পৃথিবীর দিকে দিকে ছড়াবে। 
আর আল্লাহর সন্তুষ্টি তখনই হাসিল হবে।
হে আমার ছেলে! 
আমরা ওই সকল শাসকদের মতো নই, যারা শুধু শাসন করার জন্য বা জনগোষ্ঠীর ওপর কর্তৃত্ব খাটানোর জন্য যুদ্ধ বাঁধাতে থাকে। 
আমরা এমন এক জাতি, যারা ইসলাম নিয়ে জীবিত হই এবং ইসলাম নিয়েই মৃত্যুবরণ করি।
 বৎস আমার, তুমি ওরকম শাসক হতে পারো না।
হে আমার সন্তান!
যে তোমার আনুগত্য করবে, তাকে তুমি সম্মান করবে। সেনাবাহিনীকে পুরস্কৃত করবে। 
তোমার সম্পদ ও সেনাবাহিনী দিয়ে শয়তান যেন তোমাকে ধোঁকা না দেয়। 
আর কখনোই নিজেকে বিজ্ঞ আলিমদের থেকে দূরে রাখবে না।
পুএ আমার !
জেনে রেখো, ইসলামের প্রচার-প্রসার, মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করা এবং মুসলিমদের জানমালের নিরাপত্তা প্রদান করা তোমার জন্য আমানতস্বরূপ। 
আল্লাহর কাছে তোমাকে অবশ্যই এ ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে।
হে আমার ছেলে !
আমি তোমাকে উম্মাহর আলিমদের ব্যাপারে অসিয়ত করে যাচ্ছি। 
সবসময় তাঁদের খোঁজখবর রাখবে। 
তাঁদের সম্মান করবে। 
তাঁদের পরামর্শ মাথাপেতে মেনে নেবে, 
কারণ, তাঁরা কল্যাণকর বিষয় ছাড়া অন্য কিছুর আদেশ করেন না।
বেটা আমার !
আমি অচিরেই আল্লাহর কাছে উপস্থিত হব। 
আমি তোমাকে নিয়ে গর্ববোধ করি—তুমি প্রজাদের জন্য একজন ন্যায়পরায়ণ শাসক হবে।
 আল্লাহর দ্বীন প্রচারের জন্য একজন মুজাহিদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।
হে আমার বৎস !
পৃথিবীতে এমন কেউ নেই, যে মৃত্যুর সামনে তার মাথানত করবে না। 
আল্লাহর ইচ্ছায় আমার পৃথিবীর জীবন শেষ হয়ে এসেছে। 
এ রাজত্ব আমি তোমার কাছে সমর্পণ করে যাচ্ছি আর এ ব্যাপারে আল্লাহর কাছে দুআ করছি,
প্রতিটি বিষয়কে ইনসাফের সঙ্গে সম্পাদন করবে।"




উসমানী খেলাফতের স্বর্ণ কণিকা।


Post a Comment

0Comments

Thanks everyday

Post a Comment (0)
To Top