ন্যায়-ইনসাফ রাজত্বের ভিত্তি
এরতুগরুল বিন সুলায়মান শাহ ১২৮৫ খ্রিষ্টাব্দে বাইজেন্টাইনদের কাছ থেকে কারাহজাহিসার' (Karacahisar) দুর্গ জয় করে নেন।
বিজয়ের পর তাঁর পুত্র উসমান বিন এরতুগরুলের ওপর সেখানকার শাসনভার ন্যস্ত করেন।
একদিন উসমান বিন এরতুগরুলের দরবারে পরস্পর বিবাদকারী দুজন লোকের আগমন হয়।
একজন মুসলিম অপরজন খ্রিষ্টান। দরবারে দুজনই তার প্রতিপক্ষকে দোষী সাব্যস্ত করে বিচার দাবি করে।
উসমান বিন এরতুগরুল সাক্ষী-প্রমাণের দ্বারা বুঝতে পারেন, মুসলিম লোকটিই অপরাধী; খ্রিষ্টান লোকটি নিরপরাধ।
তাই তিনি খ্রিষ্টান লোকটির পক্ষেই ফায়সালা দেন।
ফায়সালা শুনে খ্রিষ্টান লোকটি যেন নিজের কানকে বিশ্বাস করাতে পারছিল না! মুসলিমের বিপক্ষে ফায়সালা যাবে, এটা তার কল্পনায়ও ছিল না।
সে মনে করেছিল, খ্রিষ্টান বলে উসমান বিন এরতুগরুল কখনো তার পক্ষে ফায়সালা দেবেন না; বরং মুসলিম শাসক হিসেবে স্বজনপ্রীতি করবেন।
এ জন্য সে তার কাছে বিচার চাইতে তেমন আগ্রহীও ছিল না।
বলা যায়, মুসলিম লোকটিই জোর করে তাকে নিয়ে এসেছে।
খ্রিষ্টান লোকটি তার আশ্চর্যের ঘোর কাটাতে উসমান বিন এরতুগরুলকে প্রশ্ন করে বসে—‘আমি বিধর্মী হওয়া সত্ত্বেও আপনি কেন আমার পক্ষে ফায়সালা দিলেন?” উসমান বিন এরতুগরুল জবাব দেন, ‘আমি কীভাবে তোমার পক্ষে ফায়সালা না করি? আমরা যে আল্লাহর ইবাদত করি, তিনি তো কুরআনুল কারিমে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, “নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদের আদেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা আমানতসমূহ তার প্রাপকের নিকট পৌঁছে দেবে এবং যখন তোমরা বিচার করবে, তখন অবশ্যই ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে বিচার করবে।”” [সুরা নিসা : ৫৮]
এ কথা শুনে খ্রিষ্টান লোকটি আর দেরি করেনি; সঙ্গে সঙ্গে দৃপ্তকণ্ঠে
اشهد ان لا اله الا الله واشهد ان محمدا عبده ورسوله
‘আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ পড়ে মুসলমান হয়ে যায়!
Thanks everyday