চেচেন মুজাহিদদের বিজয়ের শুরুলগ্ন। Chechnya. Ofde Islam

2

          

             সত্যের বিজয়ে চেচেন মুজাহিদ!

চেচেনিয়ায় পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট একটি গ্রাম, সবুজ শ্যামল কোলাহলমুক্ত পরিবেশ-চারিদিকে দাড়িয়ে আছে নানান ফল-ফুলের গাছ, বিশাল পাহাড়ে নিরন্তর বয়ে চলছে মনমুগ্ধর সুপিয় পানির ঝর্ণা- পাখিরা গানে গানে মুখরিত করে রাখে গ্রামটিকে- ঝর্নার ঝিমঝিম শব্দ, পাখির গান, পুষ্পকলিদের হাসি কান্না থেকে ভেসে আসে জান্নাতি হুরের পবিত্র হাসির রিনিঝিমি শান্ত-সুন্দর প্রকৃতি যেন কোল করে নিয়েছে গ্রামটিকে , মানুষগুলোও অনেক ভালো সহজ-সরল আল্লাহভীরু কিছুটা নিরিহ ও বটে। ওদের দৃষ্টিনন্দন মসজিদটির পাশেই রয়েছে ছোট্ট একটি মক্তব। এরেই পিছনে দুটি পাহাড়ের মাঝে খালি জায়গাটিতে অবস্থান নিশ্চিত করে নিয়েছেন একদল মুজাহিদ বাহিনী, গ্রামবাসীদের হৃদয়-মন জয় করে নিয়েছেন মুজাহিদগন। গ্রামবাসীরা তাদেরকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসতে শিখে গেছে। 

মুজাহিদদের পাশে থাকতে পেরে তাদেরকে কাছে পেয়ে বেজায় খুশি তারা।

মুজাহিদদের কারণে রুশ বাহিনী দু'দুবার গ্রামটিতে আক্রমণ চালিয়েছে। এতে করে তাদের অন্তরে রুশ বাহিনীর প্রতি ঘৃণা যেমন তীব্র হতে লাগলো তেমনি অন্যদিকে মুজাহিদদের প্রতি তাদের ভালোবাসা আরো বেগবান হতে থাকলো।

এ উচ্ছ্বাসিত জনতার প্রাণভেজা ভালোবাসার পাহাড় ভেঙ্গে  রুশ বাহিনীর পক্ষে মুজাহিদদের উপর সাফল অভিযান চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠলো, 

রুশ বাহিনীর লক্ষ্য এখন একটাই মুজাহিদ দমন কিন্তু....! বহু দমন কৌশল ব্যর্থ হওয়ার পর আবারো  সিদ্ধান্ত হলো মুজাহিদ দমনের, রাতের আধারে -কার্যকর হলো। 

পাহাড়ের চূড়ায় রুশ বাহিনী আস্তানা গেড়ে বসলো, রাতের নিশি আধারের বুকচিরে সূর্যটা পূর্ব দিগন্তে উকি দিল । সকাল থেকে দুপুর পেরিয়ে সন্ধায় সারা দিনের নান্ত সূযটা যখন বাড়ি ফেরার পথে পশ্চিমের মাটি ছুই ছুই-মুজাহিদদের পাশে থাকা নিরিহ মানুষগুলো যখন কর্মস্থান ত্যাগ করে ঘরে ফিরায় ব্যাস্ত হায়েনাগুলো বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়লো গ্রামটিতে। শুরু হলো তাদের অভিযান ,

অবস্থা গুরুতর ও ভয়ংকর হবে বুঝতে পেরে মুজাহিদগণ শন্তর্পণে অস্থায়ী ঘাঁটি ত্যাগ করলেন, সংঘর্ষে জড়ালে গ্রামবাসীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতো, শুরু হলো তাদের তল্লাশি, 

ঐ যে গ্রামটির দক্ষিণ কোনে ছোট্ট ঘরটি  তাতে চারজনের পবিত্র একটি পরিবারের বসবাস, মা-বাবা দুই ছেলে-মেয়ে, 

কমান্ডার তিন জন সৈনিক নিয়ে সেই ঘরটির দিকে এগিয়ে গেল। 

বৃদ্ধা প্রায় মা কমান্ডারের মুজাহিদ কোথায়! মুজাহিদ কোথায়। চিৎকার শুনে কিছু একটা আয করতে পারলেন, তাই স্বামী-ছেলেকে দ্রুত বাহিরে পাঠিয়ে দিলেন, আর মা এদিকে ব্যর্থ চেষ্টা করলেন মেয়েকে লুকাতে, কমান্ডার মহা খুশি - ভিতরের পশু স্বভাবটা ভয়ংকর শক্তিতে নাড়া দিয়ে উঠলো, তার কুৎশিত চেহারায় বিজয়ের হাসি প্রকাশ পেল , তার অভিযান যেন সফলতার দ্বারপ্রান্তে, কমান্ডার মেয়েটির ......!

মা ছোট্ট একটা চিৎকার দিয়ে ওপারে পাড়ি জমালেন, এ অসহায়ত্বের পরিস্থিতি নিরুপায় বাবাকে অবুঝ শিশুর মত কাদিয়ে তুলল, ভাইয়ের বুকে প্রতিশোধের আগুন জ্বেলে দিল, 

খবর ছড়িয়ে পড়লো চারিদিকে, চেচেন মুজাহিদরা খবর পেয়ে ইসলাম প্রদত্ত নারীর মর্যাদা রক্ষায় বদ্ধপরিকর হলো, কিন্তু তাদের নেই তেমন কোন আগ্নেয়াস্ত্র- হাতে হাত  রেখে প্রতিজ্ঞা করলো ঈমানী অস্ত্র দিয়েই মোকাবেলার, রাশিয়াকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিল, তোমরা ঐ কমান্ডারকে আমাদের হাতে তুলে দাও না হলে বন্দি সাত রুশ সেনার মৃত্যু অবধারিত! কিন্তু না রাশিয়া নিরব দর্শকের আসন গ্রহন করে বসলো, মেয়ের ভাইয়ের হাতে তরবারি তুলে  দিলেন চেচেন মুজাহিদগণ= নাও হত্যা করো ওদেরকে, প্রতিশোধ গ্রহণ কর তোমার বোনের-এ প্রতিশোধ মায়ের দুধের মত হালাল।     এক এক করে সাতটি মাথা দেহ থেকে আলাদা হয়ে গেল।

মুজাহিদদের লক্ষ্য এখন ঐ কমান্ডার ও স্বাধীন একটি ভূখণ্ড,

তারা এগিয়ে গেল তাদের প্রত্যয় নিয়ে। 

বেশ কিছুদিন পর!

রুশ সেনারা তাদের আস্তানায় গভীর ঘুমে, 

হঠাৎ অকল্পনীয় হামলা রসাদভান্ডারে, চারিদিকে আগুনের ছড়াছড়ি-ভয়ংকর আগুন। ঐ হায়েনা সহ নিহিত হলো অসংখ্য রুশ সেনা।

রাশিয়া আসন ত্যাগ করলো নিরব দর্শকের। 

ঘোষণা দিল চেচেন মুজাহিদ নিধনের। 

চলতে থাকলো ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া, হক বাতিলের মাঝে।  

সত্যের সামনে রাশিয়া মাথা নত করলো.

وَقُلْ جاءَ الْقُ وَزَهَقَ الْبَاطِنُ

"সত্য এসেছে তো বাতিল বিলুপ্ত হবেই"

এখন ঐ ছোট্ট গ্রামটি সহ রাশিয়ার একটি অংশ চেচেন মুজাহিদদের হাতে!

                                              ©Ofde islam 

Ofde islam
সাআদ ✔ Verified
Founder | Creative Lead - বাংলাদেশ






Post a Comment

2Comments

Thanks everyday

Post a Comment
To Top