যায়তুন ফিলিস্তিনের প্রাণ বন্ধু যায়তুন বৃক্ষ জ্বলছে ইহুদীদের আগুনে
***
ফিলিস্তীনের জাতীয় জীবনে যায়তুনগাছের গুরুত্ব অপরিসীম, তাই এর প্রতি আহলে ফিলিস্তীনের ভালোবাসাও অপরিসীম।
ফিলিস্তীনের কয়েক লাখ পরিবারের আয়ের বড় উৎস যায়তুন এবং যায়তুনের তেল।
স্থানীয় অর্থনীতির ১৪ভাগেরও বেশী দখল করে আছে যায়তুন।
শুধু গায্যায় প্রতিবছর পাঁচ হাজার টন যায়তুনের তেল উৎপাদিত হয়। ফিলিস্তীনীদের কাছে যায়তুন গাছের গুরুত্ব শুধু জীবন ও জীবিকার জন্যই নয়, বরং যায়তুন গাছের সঙ্গে রয়েছে তাদের হৃদয় ও আত্মারও সম্পর্ক।
যায়তুন গাছের ছায়া তাদের বড় প্রিয়। যায়তুনগাছ ফিলিস্তীনের জাতীয় মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্যের প্রতীক বলে মনে করা হয়। আহলে ফিলিস্তীন বিশ্বাস করে, যায়তুনগাছ তাদের নীরব বন্ধু, তাদের সুঃখ-দুঃখের সাথী ও সাক্ষী! অনেক সময দেখা যায়, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা পুরোনো কোন যায়তুনগাছ জড়িয়ে ধরে নিজের দুঃখ কষ্টের কথা বলতে থাকে, তাদের একটা অবুঝ বিশ্বাস,
যায়তুনগাছ তাদের কষ্টের কথা শোনে এবং বোঝে,
গড়ে পাঁচশ বছর বাঁচে এবং ছায়া ও ফল দান করে।
ফিলিস্তীন ও গাযযার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশবান্ধবতার ক্ষেত্রে যায়তুনগাছের ভূমিকা অপরিসীম।
চরম পরিতাপের বিষয়, পৃথিবীর সমস্ত পরিবেশবাদী সংস্থা, যারা তুরস্কে অতি প্রয়োজনে একটা দু'টো গাছ কাটা হলেই পরিবেশবিপন্নতার মায়াকান্না শুরু করে, তাদের চোখের সামনে সেই ১৯৪৮ সাল থেকেই ইহুদীবাদীরা ফিলিস্তীনে যায়তুনগাছ নিধনের উৎসব চালিয়ে আসছে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত পশ্চিমতীরে আটলাখের বেশী যায়তুনগাছ ইহুদীরা কেটে ফেলেছে। উদ্দেশ্য পরিষ্কার, ফিলিস্তীন ও গাযযার মানুষের জীবন ও জীবিকার মেরুদণ্ডে আঘাত করা এবং তাদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়া।
সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে যায়তুনগাছনিধনের একটা পাশবিক প্রক্রিয়া।
যায়তুনগাছে আগুন লাগিয়ে দখলদারবাহিনী ও অবৈধ বসতিস্থাপনকারীরা আগুন-উৎসব নামে একটা উৎসব পালন করে শুধু আহলে ফিলিস্তীনের জাতীয় অনুভূতির উপর আঘাত করার জন্য।
সম্প্রতি গায্যায় নতুন একটি মর্মান্তিক পরিস্থিতি দেখা
দিয়েছে।
অবরুদ্ধ গাযযার কোন কোন পরিবার উপায় না পেয়ে নিজেরাই যায়তুনগাছের ডাল কেটে আনে। কারণ তাদের চুলা জ্বালানোর বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই। তারা যখন যায়তুনগাছের ডাল কাটে তখন তাদের চোখ থেকে অঝোরে অশ্রু ঝরতে থাকে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও যায়তুন বা জলপাইকে শান্তির প্রতীক মনে করা হয়, অথচ বিশ্বের কোন প্রান্ত থেকে ইসরাইলের যায়তুনবৃক্ষ- নিধনের বিরুদ্ধে মৌখিক প্রতিবাদও উচ্চারিত হয় নি ।
©Ofde islam
Thanks everyday